বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরের সিরাজউদ্দৌলা ক্লাব মাঠে জানাজা শেষে বন্দর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, হান্নান সরকার, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় বিশিষ্টজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওমর ফারুকের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে পরিবারের লোকজন ওমর ফারুকের মরদেহ বুঝে নিয়ে বন্দর উপজেলায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
বুধবার সকালে ওমর ফারুকের মরদেহ দেখতে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
নিহত ওমর ফারুকের স্ত্রী সানজিদা জাহান নিহা বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্বামীকে তো আর আমি ফিরে পাবো না। কোনোভাবেই তার শূন্যতা পূরণ হবার নয়। সে ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি। তাকে হারিয়ে এ পরিবারে আমি, আমার বৃদ্ধা শাশুড়ি এবং অবিবাহিত একটি ননদ নিঃস্ব হয়েছি।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ আল-নূর মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় বন্দুকধারীর গুলিতে ৫০ জন নিহত হন। এদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রাজবাড়ি এলাকার ওমর ফারুক। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডে যান ওমর ফারুক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
আরআইএস/