বুধবার (২৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন।
মানববন্ধনে হকার নেতারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নদী ভাঙন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়-সম্বল হারিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ রাজধানী ঢাকা শহরে বসবাস করছে।
তবে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে গত ২২ জানুয়ারি হকারদের ফুটপাথ থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারও ফুটপাতে বসে ব্যবসা করতে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও আজও ফুটপাতে বসতে পারছেন না বলে দাবি করেন হকার নেতারা।
বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাসেম কবীর বলেন, প্রায় দুই কোটির বেশি মানুষের এ শহরে কমপক্ষে চার লাখ হকার ফুটপাতের ওপর নির্ভরশীল। এ ফুটপাত থেকে অর্জিত উপার্জনের সঞ্চিত অর্থ থেকে কিছু টাকা আমরা গ্রামে স্বজনদের কাছে পাঠাই। গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখে। কিন্তু সেই আমরাই বিভিন্ন হয়রানি, নির্যাতন ও চাঁদাবাজির শিকার হই।
তিনি আরও বলেন, হকার উচ্ছেদের জন্য প্রায়শই যে কথাটি বলা হয়, তা হলো হকাররা শহরের যানজটের প্রধান কারণ। কিন্তু সম্প্রতি দেশের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকা শহরের যানজটের প্রধান তিনটি কারণ হলো প্রাইভেট কার দিয়ে রাস্তা দখল, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও কনস্ট্রাকশনের মালামাল দিয়ে রাস্তা দখল করে রাখা। গবেষণায় যানজটের কারণ হিসেবে হকারদের বিষয়টি আনা হয়নি। তাহলে কেন আমাদের এতো নির্যাতন সহ্য করতে হয়?
মানববন্ধন শেষে হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাসেম কবীর এবং সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি মিছিল সচিবালয়ের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় দুই পক্ষে কিছু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ নেতারা অর্থমন্ত্রী বরাবর ১০টি সুপারিশ সম্বলিত একটি স্মারকলিপি সচিবালয়ে জমা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এসএইচএস/এসএইচ