বুধবার (২৭ মার্চ) সিলেট নগরের টিলাগড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
এ দিন দুপুরে টিলাগড় মাদানি পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে তারা ওয়াসিম হত্যা মামলার দ্রুত বিচার কার্যক্রম শিগগির শুরু করা ও বাস সুপারভাইজারকে গ্রেফতার এবং উদার পরিবহনের রুট পারমিট বাতিলের দাবি জানান।
এছাড়া আরও পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- অভিযুক্ত চালক ও হেলপারের ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করা, উদার পরিবহনের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাতিল করা, লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে চলতে না দেওয়া, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি না চালানো এবং সড়কে শিক্ষার্থীসহ সকল যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে শেরপুরে বাকবিতণ্ডার জেরে ওয়াসিম আব্বাসকে (২১) গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে বাসচাপা দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠে।
সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী উদার পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপারের সঙ্গে সিকৃবি’র কয়েকজন ছাত্রের ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। সব শিক্ষার্থী সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে নামতে চাইলেও বাস কয়েকজনকে নামিয়ে দিয়েই দ্রুত গতিতে চলতে থাকে। এ সময় ওয়াসিম বাসের দরজার হাতল ধরে ঝুলতে থাকলে হেলপার ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে গাড়ির দরজা লাগিয়ে দেন এবং চালক বাস না থামিয়ে চালাতে থাকেন। এতে ওয়াসিম বাসের নিচে চাপা পড়েন। পরে দ্রুত ওয়াসিমকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রাতেই উদার পরিবহনের সেই বাসটিকে (ঢাকা মেট্রো-ভ-১৪-১২৮০) আটক করে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। নিহত ওয়াসিম হবিগঞ্জের রুদ্রগ্রাম এলাকার মাহবুব ঘোরীর ছেলে। তিনি সিকৃবি’র মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঘটনার রাতেই নগরের উপকন্ঠ কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে সেই বাসচালক জুয়েল আহমদকে (২৬) আটক করা হয়। এরপর রাত ২টার দিকে হেলপার মাসুক আলীকে (৪০) সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিঙ্গেরকাছ তার শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে ছাতক থানা পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি। সিকৃবি কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এনইউ/টিএ