ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

আ’লীগের শেকড় জনগণের হৃদয়ে প্রোথিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
আ’লীগের শেকড় জনগণের হৃদয়ে প্রোথিত

ঢাকা: বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের আন্দোলনে নেতৃত্বদাতা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা হয়েছে উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ আওয়ামী লীগকে শেষ করতে পারেনি। কারণ এই আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার জনগণের হৃদয়ে প্রোথিত।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বক্তৃতার শুরুতেই বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওই আমলে সামরিক বাহিনী, প্রশাসনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বাঙালিকে বঞ্চিত করার চিত্র তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, পাট, চা, তামাক থেকে শুরু করে সব অর্থকরী ফসল আমরা উৎপাদন করে রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতাম, আর সেসব নিয়ে যেতো পাকিস্তানিরা। তিন বার রাজধানী পরিবর্তন করে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। কখনো করাচি, কখনো রাওয়ালপিণ্ডি, কখনো ইসলামাবাদ। এই পরিবর্তনে যতো টাকা খরচ হতো, আমাদের দিতে হতো, কিন্তু ভোগ করতো তারা। তাদের কিন্তু ছিল মরুভূমি। আমাদের অর্থ নিয়ে তারা মরুভূমিতে ফুল ফুটিয়েছিল, আর আমাদের তারা মরুভূমিতে পরিণত করার চেষ্টা করেছিল। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সংগ্রাম-আন্দোলন।  

বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাঙালিকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়েছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার নেতৃত্ব-নির্দেশনায় বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

‘স্বাধীনতার পর পর বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনে মনোনিবেশ করেছিলেন, কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে পরাজিত শক্তি বাঙালি জাতিকে নিঃশেষ করে ফেলার চেষ্টা চালায়। এরপর ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান তা মুছে ফেলা হয়েছিল, স্বাধীনতাযুদ্ধে তার নেতৃত্ব মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পারেনি। ২১ বছর তারা সরাসরি বা সরাসরি নয়, এভাবে ক্ষমতায় ছিল। তখন দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়। তোসামোদী, খোশামোদী, চাটুকারের দল সৃষ্টি করা হয়েছিল। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। জনগণ তখন সত্যিকারের স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে। আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করেছে বলে দেশ এখন অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।  

‘এই আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। এই আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করেছে আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান, জিয়াউর রহমান, (হুসেইন মুহম্মদ) এরশাদ, খালেদা জিয়া। কিন্তু পারেনি। কারণ আওয়ামী লীগের শেকড় জনগণের কাছে প্রোথিত, বাংলার মানুষের সাথে আওয়ামী লীগের শেকড় এমনভাবে প্রোথিত, এতো চেষ্টায়ও এই সংগঠনকে শেষ করতে পারেনি। এটা দ্বারা প্রমাণিত হয়, যারা প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করে, তাদের শেষ করা যায় না। আর যারা উচ্ছিষ্ট  ছিটিয়ে ক্ষমতা দখল করে, তাদের গোড়ায় কিছু থাকে না, সেজন্য ক্ষমতা ছাড়া তাদের অস্তিত্বই থাকে না। এটা এখন প্রমাণিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
এমইউএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।