ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

১৮ বছরের আগেই ৫৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৯
১৮ বছরের আগেই ৫৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে! প্রজনন স্বাস্থ্য ও জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ বিষয়ক বিভাগীয় অবহিতকরণ সভা

খুলনা: বাংলাদেশে ১৮ বছরের আগে ৫৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় যায়। আর ১৫ বছরের আগে বিয়ে হয় ২২ শতাংশ মেয়ের। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের শতকরা ৩১ জন সন্তানসম্ভবা হয়।

কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য ও জীবন দক্ষতা প্রশিক্ষণ বিষয়ক বিভাগীয় অবহিতকরণ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। বুধবার (২৭ মার্চ) খুলনা শহরের সিএসএস আভা সেন্টারে দিনব্যাপী এ সভার আয়োজন করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, বাল্যবিয়েকে না বলতে হবে। বাল্যবিয়ের সাথে যারাই জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কাজি, পুরোহিত এবং জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কাজি ও পুরোহিতদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা বাল্যবিয়ের দাওয়াত খেতে যাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের পাশাপাশি সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে পুরনো ধারণা বাদ দিয়ে আধুনিক চিকিৎসা নিতে হবে। শারিরীক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সামাজিকভাবে সুখী ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।  
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রজনন স্বাস্থ্য ও জীবন দক্ষতা বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. জয়নাল হক। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মো. শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক, অবস ও গাইনোকলজি সোসাইটি খুলনার সভাপতি ডা. আফরোজা খানম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক শামসুল আলম, খুলনা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল বাশার মোল্লা, সাংবাদিক কাজী শামীম আহমেদ, সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজীম তাসনীম প্রমুখ।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এখনও গ্রাম-গঞ্জের মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বয়ঃসন্ধিকালীন কার্যক্রমের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই স্কুলবিমুখ হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুলনা জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৃথক কর্ণার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা,  মার্চ ২৭,  ২০১৯
এমআরএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।