ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রগতিশীল-নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
প্রগতিশীল-নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম

ঢাকা: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত একটি প্রগতিশীল ও ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আরো শক্তিশালী করার অঙ্গীকার নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়,  স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সকালে হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধু ও তার শহীদ পরিবার এবং মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া।

বিকেলের আয়োজনে ছিলো কেনজিংটন টাউন হলে সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম ও মো. নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এবং বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শমী কায়সার।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সবাইকে যোগ দিয়ে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত, প্রগতিশীল ও ধর্ম নিরপেক্ষ একটি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙ্গার দিন। এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এবং ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখের বেশি নারীর সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে অতিথিদের নিয়ে হাইকমিশনার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটি কেক কাটেন। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে বর্ণীল অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
টিআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।