গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আব্দুল আহাদ সাত জন নিহত হওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন- পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), মামুন (৩৬), আমিনা ইয়াসমিন (৪০), আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মনির (৫০) ও মাকসুদুর (৩৬)।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, বনানীর অগ্নিকাণ্ডে ইউনাইটেড হাসাতালে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন।
‘তারা তিনজনাই পুরুষ। এদের দু’জনই আতঙ্কে লাফ দিতে গিয়ে মারা গেছেন বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ১৭ জন। নিহত একজনের নাম মনির। এছাড়া আর কারো নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। ’
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিলে দগ্ধ আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমাদের হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চারজন এসেছে। এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল ফারুক নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে ৯০ শতাংশ পোড়া ছিল। আহত অবস্থায় আরো তিনজন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে আবু হোসেন নামে একজন আছে তার পায়ে ফ্র্যাকচার হয়েছে। আরেকজনের নাম রেজোয়ান আহমেদ। তার শরীরে আঘাতসহ দগ্ধ আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাব্বির আহমেদ নামের আরেকজনের পায়ে কাচ ঢুকেছে ও শরীরে ফ্র্যাকচার আছে।
এছাড়া কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া দগ্ধ এক শ্রীলঙ্কান নাগরিককে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই হাসপাতালে ৩০ জনের বেশি আহত ব্যক্তি এখনও চিকিৎসাধীন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, এফ আর টাওয়ারের আগুনের তীব্রতা কমেছে। অনেকে আটকে ছিল। এখনো কেউ আটকে আছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। তবে পুরো টাওয়ার এখনও কিছুটা ধোঁয়াচ্ছন্ন। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। পাশের ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এজেডেএস/পিএম/এএ