বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত দু’টি পরিচালিত হয়।
এসময় পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল হাসান, আনসার ব্যাটালিয়নের প্লাটুন কমান্ডার আমজাদ হোসেনসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা পূর্বপাড়া গ্রামের মইনুল হকের মেয়ে ও ভেন্নাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মায়া আক্তারের (১২) সঙ্গে ঘোড়াচড়া গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে কাউছার হোসেনের (২৫) বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী ও বর পক্ষের লোকজন পালিয়ে গেলেও বরের ফুপা মোশাররফকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে বাগবাটি ইউনিয়নের বাগবাটি পশ্চিমপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমি খাতুনের (১৪) সঙ্গে একই ইউনিয়নের বৈদ্যধলডোব পশ্চিমপাড়া গ্রামের ইসহাক আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেনের (২৩) বিয়ের আয়োজন চলছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখানে অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী কৌশলে পালিয়ে যায়।
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বরের বাবা ইসহাক আলী ও কনের বাবা শফিকুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এসময় কনের বাবার কাছ থেকে মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে মুচলেকা নেওয়া হয় বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
জিপি