শুক্রবার (২৯ মার্চ) বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ভবন নির্মাণে যে আইনগুলো রয়েছে প্রথমত সেগুলো পরীক্ষা করতে হবে, সেখানে কোনো ঘাটতি আছে কি না।
‘এছাড়া, এসব ভবনে আগুন লাগলে করণীয় কি হবে তাও নির্ধারণ করতে হবে। মানুষতো ১০-১২ তলা থেকে লাফিয়ে বাঁচতে পারবে না। সব দেশেই এমন আইন রয়েছে, আমাদেরও রয়েছে। তাই এসব বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে জাতীয় পর্যায়ে একটা কমিশন গঠন করতে হবে। ’
যেখানে এসব বিষয়ে অভিজ্ঞদের রাখতে পারে সরকার। যারা প্রত্যেকটি বিষয় সঠিক মূল্যায়ন করতে পারে বলেও মত দেন তিনি।
কমিটির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, সরকার যে কমিটি তৈরি করবে এতে যেন ইঞ্জিনিয়ার ও বড় মাপের আর্কিটেকচারাল ইঞ্জিনিয়ার থাকেন। তারা পরামর্শ দেবেন কীভাবে বিল্ডিং তৈরি করার সময় ফায়ার এক্সিট থাকতে হবে। এছাড়া এখন যে বিল্ডিংগুলো আছে সেগুলোর বর্তমান অবস্থাও তারা মূল্যায়ন করবেন।
গণফোরামের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছি, এখানেই থেমে থাকবো না। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির নকশায় কি ছিল, কারা কীভাবে অনুমোদন দিয়েছে, অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে দিয়েছিল নাকি বুঝে-শুনে দিয়েছে- এক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব রয়েছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখবো। আপনাদের কারো কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা আমাদের দিয়ে সহায়তা করবেন।
এসময় তিনি ভবন নির্মাণের নীতিমালা নিয়ে বলেন, বিদেশে আইন আছে ১০-১২ তলা বিল্ডিং নির্মাণ করতে হলে ফায়ার এক্সিট থাকতে হয়। কিন্তু এখানে অবাক হওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটছে, মানুষ মারা গেছে, কিন্তু কোনো ফায়ার এক্সিট পয়েন্ট ছিল না। এতো বড় ভবন থেকে মানুষ প্রাণ বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে এটা তো হতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
পিএম/এএ