শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল পৌনে ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি জাকির খানের কাপড়ের দোকান, আব্দুর রাজ্জাকের ব্রয়ালার মুরগির খাদ্যের দোকান, আলী ইলেকট্রিক হাউস, কাউছার পাটওয়ারীর কোকারিজ দোকান-২, হেলালের মুরগির দোকান এবং শহীদের প্লাস্টিকের দোকান।
ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৩টার দিকে কোনো এক দোকান থেকে আগুনের সূত্র ঘটে। খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু এরই মধ্যে ছয়টি দোকান আগুন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এসময় উৎসুক জনতার মধ্যে কেউ কেউ বিভিন্ন মালামাল লুট করার চেষ্টা করে এবং একটি দোকান থেকে দু’টি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
চাঁদপুর ফায়ার স্টেশন উত্তরের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মোবারক আলী বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে চাঁদপুর ও রায়পুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট রাত ৩টা ৪১ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এর মধ্যে চাঁদপুরের একটি ও লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট কাজ করে পৌনে ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রাতে লোকজন ছিল না, তাই ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তদন্ত ছাড়া এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
জিপি