শুক্রবার (২৯ মার্চ) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৪৮তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি যুক্তরাজ্য জাতিসংঘে অব্যাহত কূটনৈতিক নেতৃত্ব পালন করবে, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের মাতৃভূমিতে নিরাপদ পরিবেশে ফিরে যেতে পারে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন দিবসটি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে (আইএমও) ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য, কূটনৈতিক, ব্রিটিশ এবং বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম অনুষ্ঠানে অতিথিদের সাদর অভ্যর্থনা জানান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এতে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আর্ল হোয়ে, কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল পেট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড ও আইএমও-এর সেক্রেটারি জেনারেল কিটাক লিমসহ হাউজ অব লর্ডসের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং ব্যারনেস উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন, যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এবং বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শমী কায়সার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যুক্তরাজ্য সরকার, ব্রিটিশ ও বাংলাদেশি-ব্রিটিশ জনগণ এবং গণমাধ্যমকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি তাদের এ সমর্থন রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কানাডা যাওয়ার পথে ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের জন্য লন্ডনে অবস্থান করেন। এ স্বল্প সময়ে তিনি বেশ কয়েকজন সিনিয়র ব্রিটিশ এমপির সঙ্গে সাক্ষাৎ, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ডের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও হাউজ অব কমন্সে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ছিল শাহরিয়ার আলমের প্রথম লন্ডন সফর। এসব সাক্ষাৎ ও আলোচনায় শাহরিয়ার আলম যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সুদীর্ঘ সুসম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, আমরা আশা করি আগামী বছর দু’দেশ একসঙ্গে মিলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি ঢাকা ও লন্ডনে উদযাপন করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
টিআর/এএ