শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে জেলাটির সদর উপজেলার দুর্গম থলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে থলিপাড়া গ্রামে দুইজনকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই মামলার আসামি ছিলেন কালি বন্ধু। তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। শুক্রবার আত্মগোপন থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হামলাটি হয়।
পুলিশ ও আহতরা জানিয়েছেন, সকালে স্ব-পরিবারে চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলে করে গ্রামে ফিরছিলেন কালী বন্ধু। এসময় স্থানীয় নিহার বিন্দু ত্রিপুরার নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৩৫ জন সন্ত্রাসী তাদের ওপর ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালান।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কালি বন্ধু। আহত হন কালি বন্ধুর স্ত্রী রেমা প্রতি ত্রিপুরা ওরফে সেনেমা (৫০), ছেলে প্রদীপ ত্রিপুরা (২৪), যত্ন বিকাশ ত্রিপুরা (৩০), নিকটাত্মীয় অরুনা ত্রিপুরা (৩৫), রুপবালা ত্রিপুরা (৩৫), বিদ্যা রতন ত্রিপুরা (৩৫) ও উৎপল ত্রিপুরা (৮)।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পূর্ব শক্রতার জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড। হামলাকারীদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৭ সালের ১১ মে থলিপাড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় চিরঞ্জিত ত্রিপুরা (৫৫) ও তার পুত্র কর্ণ ত্রিপুরা (৩০) নিহত হয়েছিলেন। সে ঘটনার পর থেকে কালী বন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করে এতোদিন জেলা শহরে অবস্থান করছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
টিএ