‘১৩ তলায় ধোঁয়ার কারণে আমাদের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তখন আমরা চেয়ার দিয়ে জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলি।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকা বনানীর অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ রোগীদের মধ্যে আবু হোসেন নামে একজন জানাচ্ছিলেন একথা।
অগ্নিকাণ্ডের দিন ৪টার দিকে তিনি এফ আর টাওয়ার থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়ন। তুলনামূলকভাবে অন্যদের চেয়ে সুস্থ আছেন তিনি। এমনকি শুক্রবার দুপুরে তিনি ছাড়পত্র পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। থাকেন মুগদা এলাকায়।
আবু হোসেন বলেন, শেষ সময় ১২ তলা থেকে ১৩ তলায় যাওয়ার পর প্রচণ্ড তাপ ও ধোঁয়ার সম্মুখীন হয়েছিলাম আমরা। অসুস্থ হয়ে পড়ছিলাম। তাই সেখান থেকে আর এগোতে পারছিলাম না। তাছাড়া আমাদের মধ্যে অনেকেই উপরে ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখে ছাদের গেট তালাবদ্ধ। তাই তারা আবার নেমে আসে।
পরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে উদ্ধার কর্মীরা নেমে ছাদের গেট ভেঙে ফেলেন এবং আমাদের সহকর্মীদের উদ্ধার করেন। আর আমরা কয়েকজন ওই জানালার গ্লাস ভেঙে অক্সিজেন পাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় নেমে আসি। ওই গ্লাস না ভাঙতে পারলে হয়তো আমরা অক্সিজেনের অভাবে সেখানেই মারা যেতাম। আমাদের অন্য সহকর্মীরাও এখন সুস্থ আছেন। বেশিরভাগই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি। বলছিলেন আবু হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমএএম/এএ