বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ রাজুর মরদেহ বুঝে নিয়েছে পরিবারের স্বজনেরা। ভবনটির ৮ তলার আসিফ ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন রাজু।
সহকর্মীরা বলছেন, ফরওয়ার্ডিং ফ্রেইট কোম্পানির জগতে এক পরিচিত এবং দক্ষ নাম ছিল রেজাউল করিম।
আসিফ ইন্টারন্যাশনালের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এই ফ্রেইটের এজিএম সৈয়দ আব্দুল আউয়াল নান্না বাংলানিউজকে বলেন, ফরওয়ার্ডিং ফ্রেইট জগতে সুপরিচিত নাম ছিলেন রাজু স্যার। প্লেন বা জাহাজ খাতের (পণ্য পরিবহন) সবাই তাকে চিনতেন। নিজের কাজ দক্ষতার সঙ্গে পালন করতেন। আমাদের যেসব গ্রাহক বিদেশে পণ্য রপ্তানি করেন তাদের শিপমেন্ট যেন কোনোভাবে মিস না হয় তা নিয়ে নিশ্চিতে কাজ করতেন স্যার। তিনি কাজ করতেন দেশের জন্য।
আবদুল আউয়াল নান্না জানান, একই প্রতিষ্ঠানের আরও দুই কর্মকর্তাকে হারিয়েছেন তারা। অ্যাকাউন্টস অফিসার সালাহ উদ্দিন এবং পরিবহন কর্মকর্তা আহমেদ জাফর।
অফিসে তখন প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন কর্মকর্তা কর্মচারী এবং অতিথি ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুন লাগার পর আমরা কোনোভাবে ছাদে এসে পাশের আহমেদ টাওয়ার দিয়ে বের হয়েছি। খুব ধোঁয়া ছিল। কে বের হতে পারলো সেটিও দেখতে পাচ্ছিলাম না। কোনোভাবে হাতড়ে হাতড়ে ৮ তলা থেকে ২৩ তলায় যাই।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই স্বামীর ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে তাকে খুঁজছিলেন স্ত্রী রাবেয়া খাতুন। যাকে পাচ্ছিলেন তাকেই স্বামীর সন্ধান করছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এসএইচএস/এএ