ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

লোভের আগুনে পুড়ে আর প্রাণহানি নয়: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
লোভের আগুনে পুড়ে আর প্রাণহানি নয়: তথ্যমন্ত্রী তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

ঢাকা: মানুষের লোভের আগুনে পুড়ে আর যেন নিরীহ প্রাণের মৃত্যু না ঘটে, দেশের ভবন মালিকদের জন্য এমন সতর্ক বার্তা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

তিনি বলেন, ‘অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভবনটি ‘নির্মাণ বিধি (বিল্ডিং কোড)’ অনুসরণ করে নির্মিত নয়। অনুমোদনবিহীন বেশিতলা নির্মিত এ ভবনে বিধি অনুযায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাও ছিলো না।

অর্থাৎ মালিকের লোভের আগুনে পুড়ে হতাহত হয়েছেন নিরীহ মানুষ। এর পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে বৃহস্পতিবারের (২৮ মার্চ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমিতে ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল (ডব্লিউসিসি)-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের জন্য গভীর শোক ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং এ দুর্ঘটনার কারণ ও পুনরাবৃত্তি রোধের দিকে দৃষ্টিপাত করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিজ দেশ, সংস্থা ও আত্মউন্নয়নের জন্য যোগাযোগের বিকল্প নেই। তৈরি পোশাক শিল্পে জিএসপি সুবিধা বাতিলের পরও বাংলাদেশ বিশ্বপ্রতিযোগিতায় এ শিল্পে তার প্রবৃদ্ধি অটুট রেখেছে, চীন আজ আমাদের প্রতিযোগী। এর মূল কারণ দু’টি- একটি আমাদের উৎপাদন দক্ষতা, অপরটি আমাদের বায়িং হাউজগুলোর যোগাযোগ দক্ষতা। অর্থাৎ শুধু উৎপাদন দক্ষতা থাকলেই হবে না, প্রয়োজন যোগাযোগে দক্ষতাও।

গত দশ বছরে বাংলাদেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গত দশ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে আজ প্রায় দু’হাজার ডলার। উচ্চ প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত রাখা পৃথিবীর প্রথম পাঁচটি দেশের অন্যতম বাংলাদেশ। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল, প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১শ’রও বেশি মানুষের বাস, আর মানুষপ্রতি জমির পরিমাণ দেশে সর্বনিন্ম, যে দেশ পঞ্চাশের দশক থেকেই খাদ্যঘাটতির দেশ, সেই বাংলাদেশ আজ খাদ্য রপ্তানির দেশ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নে যোগাযোগকর্মীসহ সবার ভূমিকা রয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই দেশকে সমৃদ্ধতর করে। বিশ্বব্যাপী উন্নয়নখাতে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা আগে থেকে এখন অনেক সক্রিয়। কূটনৈতিক তৎপরতাও এখন অর্থনীতিমুখী।

ওয়ার্ল্ড কমিউনিকেটরস কাউন্সিল-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী কমিটির সভাপতি এএসএম আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান এবং পাবলিক রিলেশনস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (পিআরসিআই)’র চিফ মেন্টর ও চেয়ারম্যান ইমেরিটাস এমবি জয়রাম বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং পিআরসিআই’র অপর প্রতিনিধিদের মধ্যে গভর্নিং কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিএন কুমার, ন্যাশনাল ভাইস-প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বিকে সাহু এবং কলকাতা চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ দাস অতিথি হিসেবে সভায় বক্তব্য রাখেন। সমাপনী বক্তব্যে সব অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানান ডব্লিউসিসি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব আবীর শ্রেষ্ঠ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।