শুক্রবার (২৯ মার্চ) সোয়া ৪টায় নগরীর শেখঘাট শুভেচ্ছা ৮০ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানভীর ওই বাসার মৃত আবুল ফজলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আগে তানভীর মাদকাসক্ত ছিলেন। এরপর তিনি ভালো হয়ে নামাজ-কালেমাও পড়তেন। তানভীর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বাসায় ফিরেন। পরে তানভীরের মা তাকে গোসল করে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার জন্য তাগিদ দিলে তিনি বাসার একটি কক্ষে ঢোকে দরজা বন্ধ করে দেয়। জুমার পর অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা খুলতে পারেননি তার স্বজনরা। তার সাড়া শব্দ না পেয়ে কোতোয়ালি পুলিশকে খবর দেয় স্বজনরা। পরে পুলিশ এসে বাসার ওই কক্ষের দরজা ভেঙে রক্তাক্ত অবস্থায় তানভীরের মরদেহটি উদ্ধার করে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন। বাসায় শুধু তানভীরের মা ছিলেন। এ সময় নতুন ছুরি কিনে এনে নিজের বুকে নিজেই আঘাত করে আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহটি অর্ধেক খাটের উপরে ও অর্ধেক খাটের নিচে ফেলা অবস্থায় ছিলো।
তিনি বলেন, বিছানায় ছুরিটি খাড়া করে রেখে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন তানভীর। ধারণা করা হচ্ছে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এনইউ/এএটি