কিন্তু অনাগত সন্তানের মুখ দেখার আগেই বনানীতে এফ আর টাওয়ারের আগুনে করুণ মৃত্যু হয়েছে লিটনের। ফলে তার দ্বিতীয় সন্তান বঞ্চিত হলো পিতৃস্নেহ থেকে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে লিটনের মরদেহ গ্রামের বাড়ি খুলনার তেরখাদায় পৌঁছালে স্ত্রী সন্তানসহ স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তার স্ত্রী স্বামীর শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। একইসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাদ জুমা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লিটনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
ছাগলাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম বলেন, স্বামীহারা হয়ে অল্প বয়সেই বিধবা হলেন লিটনের স্ত্রী তানিয়া। লিটনের মা-বাবা নেই। এক ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। স্ত্রী আবার সন্তানসম্ভবা। এই পরিবারটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন লিটন।
লিটনের ভাইয়ের ছেলে সুমন বলেন, বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর সেখান থেকে বের হতে না পেরে লিটন চাচা মারা যান। তিনি ওই টাওয়ারের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তার মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে সবাই শোকস্তব্ধ হয়ে যান। তার স্ত্রী এমনিতেই অসুস্থ। তার ওপর লিটনের মরদেহ আসার পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। লিটনের মৃত্যুতে এ পরিবারটি সহায়-সম্বল সবই হারালো।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন খুলনার তেরখাদা উপজেলার কোদলা গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান লিটন।
বাংলাদেশসময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস