ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাঁচার আকুতির ছাপ, সঙ্গে আনার মতো কিছু নেই

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
বাঁচার আকুতির ছাপ, সঙ্গে আনার মতো কিছু নেই পুড়ে যাওয়া এফ আর টাওয়ারের ৮তম তলার ভেতরের অবস্থা

ঢাকা: বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনে অবস্থিত মানুষের বাঁচার আকুতি স্পষ্ট। আগুন না ছড়ালেও উপরের দিকে কয়েকটি তলার অফিসে আসবাবপত্র, জুতা ছড়ানো। যা থেকে বোঝা যায় মানুষ বাঁচার জন্য ছটফট করছিলো।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ভবনটি পরিদর্শন শেষে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়গুলো জানান শামীম। তিনি ডার্ড গ্রুপের কর্মকর্তা, ভবনের ১২, ১৩, ১৬ ও ১৯ তলায় তাদের অফিস রয়েছে।

এর আগে প্রতিটি ফ্লোরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ভবনটি পরিদর্শনে প্রবেশ করেন পুলিশ সদস্যরা।

শামীম বলেন, আমাদের অফিসের আসবাব আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও টাকা-পয়সা মূল্যবান জিনিসপত্র পেয়েছি। দেখতে দেখতে ২১তলাতে গিয়ে রক্তের দাগ দেখেছি। উপরের দিকের অফিসগুলোর ভেতরে আগুন যায়নি, কিন্তু জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো। পানির বোতল-জুতা এদিক-সেদিক ছড়িয়ে আছে। এ থেকে বোঝা যায় মানুষগুলো বাঁচার জন্য ছটফট করছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শী আরো অনেকে জানান, ভবনটির ৭ম তলা থেকে ১১তলা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে ৭ম তলা থেকে ১০ম তলা পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

পুড়ে যাওয়া এফ আর টাওয়ারের ৮তম তলার ভেতরের অবস্থা৯ম তলায় অবস্থিত আসিফ ইন্টারন্যাশনালের কর্মী জিলানী। পুলিশের সঙ্গে ভবনের ভেতরে পরিদর্শন শেষে বের হয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ৯ম তলার দক্ষিণ পাশে আমাদের অফিস। অফিসের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে কিছুই পোড়ার বাকি নেই। কাঁচ ভেঙে নিচে ছাইয়ের সঙ্গে মিশে আছে, পা ফেলার উপায় নেই। সঙ্গে নিয়ে আসার মতো কিছুই পাইনি।

অগ্নিকাণ্ডের সময় অফিসে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভবনের নিচে আগুন লেগেছে। হঠাৎ করে ধোঁয়া উপরের দিকে উঠতে দেখে দ্রুত আমি ছাদে উঠে যাই। সে সময় অফিসে ২৫-৩০ জন কর্মী ছিলেন, তাদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন। তবে এ মুহূর্তে নির্ধারিত করে নামগুলো বলতে পারছি না।

এদিকে, ভবনের বিভিন্ন অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

পরিদর্শন দলে ছিলেন ডার্ড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরাফাত হোসেন বলেন, আমাদের খুব একটা ক্ষতি হয়নি, শুধু বাইরের গ্লাসগুলো কালো হয়ে গেছে। একটি অফিসে পাওয়া ৫ লাখ টাকা, পাসপোর্ট, চেকবই পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
পিএম/এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।