শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিনগত রাত ৩টার দিকে চক্রবর্তী এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- আব্দুল জলিল (৪৫), তার ছেলে ইয়াসিন মাহমুদ (১৩), মেয়ে জিয়াসমিন (২০) ও মেয়ে জামাই আবুল হাসান (২৩)।
পুলিশ ও দগ্ধরা জানান, শুক্রবার জিয়াসমিন ও তার স্বামী আবুল হাসানকে নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। রাতে জিয়াসমিন তার স্বামী হাসান ও ছোট ভাই মাহমুদ এক রুমে ঘুমান। পাশে আরেকটি রুমে তার বাবা মা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত তিনটার দিকে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় জিয়াসমিনের কাপড়ে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো রুমে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা তিনজন রুমের এক পাশের দেয়াল ধাক্কা দিয়ে ফেলে পাশে একটি ডোবার পানিতে পড়ে যান। এক পর্যায়ে তাদের চিৎকার শুনে জিয়াসমিনের বাবা জলিল তাদের উদ্ধার করতে ওই রুমে ঢুকে তিনিও দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মেডিকেল হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল হস্তান্তর করা হয়।
দগ্ধ জলিল জানান, মশার কয়েল জ্বালানোর সময় ঘরে আগুন ধরে যায়। এ সময় তার ছেলে, মেয়ে ও মেয়ে জামাতা দগ্ধ হন। এক পর্যায়ে তাদের উদ্ধার করতে গেলে তিনিও দগ্ধ হয়েছেন।
আগুনে তার মেয়ে জিয়াসমিনের শরীরের ৮৭ শতাংশ পুড়ে গেছে বলেও জানান জলিল।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, গাজীপুরে মশার কয়েল থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ চারজনকে সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জিয়াসমিন নামে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অন্য তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
আরএস/আরআইএস/