শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে দইয়ের মধ্যে ‘গ্যাস বড়ি’ মিশিয়ে তাদের খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ করেন অর্জনের শাশুড়ি যমুনা রাণী।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বহুদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল অর্জনের ভাইদের মধ্যে। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে অর্জনের ছোট ভাই অসিম তাদের ‘গ্যাস বড়ি’ মিশিয়ে দই খাওয়ান। অজান্তে এই দই খেয়ে রাতেই আমার মেয়ে তিথী (অর্জনের স্ত্রী-২৬) আমাকে ফোন করে জানায়, তাদের সবার পেট ব্যথা করছে। আমি তখন জানতে পারি, তাদের এই দই খাইয়েছেন অর্জনের ছোট ভাই।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ‘গ্যাস বড়ি’ খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয়রা সকালে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর অর্জন মারা যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, তার স্ত্রী তিথী মারা যান মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তাদের আড়াই বছরের ছেলে অরণ্য মারা যায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে। সবার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ওসি।
***মহাদেবপুরে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের রহস্যজনক মৃত্যু
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন নওগাঁর সহকারী পুলিশ সুপার (অপরাধ) রফিকুল আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
টিএ