ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

শান্তিরক্ষায় ২৬ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরলেন প্রতিমন্ত্রী

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
শান্তিরক্ষায় ২৬ প্রতিশ্রুতি তুলে ধরলেন প্রতিমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ২৬টি প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম

ঢাকা: জাতিসংঘ সদরদপ্তরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ২৬টি প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

শনিবার (৩০ মার্চ) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দ্রুত সাড়াদান প্রস্তুতি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ণ সামর্থ্যর কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দ্রুত সাড়াদান প্রস্তুতি ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ২৬টি ক্ষেত্রে অর্থাৎ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯টি, নৌবাহিনীর ৬টি, বিমান বাহিনীর ৩টি এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ৮টি ক্ষেত্রে জাতিসংঘকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।  

প্রতিমন্ত্রী বলে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ‘মানুষবিহীন আকাশ নজরদারি’ ব্যবস্থার বিষয়েও একটি প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দিয়েছি।

পাশাপাশি আমরা শান্তিরক্ষার বিধি-বিধান প্রণয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে জাতিসংঘে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি’। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের উপর ভয়াবহ সহিংসতার উদাহরণ টেনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসামরিক জনগণের সুরক্ষায় আমরা ‘কিগালী নীতি’ অনুসরণ করে চলেছি। শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণেও আমরা ‘অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা’ বিষয়টি বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছি।  

প্রতিমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌন নিগ্রহ ও এর অপব্যবহার রোধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করেন। জাতিসংঘের চাহিদা অনুযায়ী নারী শান্তিরক্ষী বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডাগুলো এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সর্বদাই সহায়ক ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রকৃতিগতভাবে শান্তি বিনির্মাণকারী হিসেবে নারীর ভূমিকা বৃদ্ধিতে সম্প্রতি আমরা জাতীয়ভাবে একটি কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করছি। প্রতিমন্ত্রী শান্তিরক্ষীদের দায়িত্ব পালন এবং নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সম্পদের পর্যাপ্ততা ও অন্যান্য নিয়ামকের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে সরবরাহকৃত বাংলাদেশের আধুনিক সামরিক সরঞ্জামের কথাও উল্লেখ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির কথাও এসভায় তুলে ধরেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণের চলমান পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের অ্যাকশান ফর পিসকিপিং ইনিশিয়েটিভ অনুযায়ী জাতিসংঘ এই মন্ত্রী পর্যায়ের সভার আহ্বান করে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ উদ্বোধনী ভাষণ দেন।

২৯ মার্চ জাতিসংঘের সদরদপ্তরে আয়োজিত সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
টিআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।