শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউ'র বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মোজাফফর হোসেন।
তিনি জানান, আহত রেজওয়ান ঘটনার দিন বিকেলে প্রথমে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিল।
রেজওয়ানের পায়ে ও কাঁধে ফ্যাকচার রয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত ও বার্ন রয়েছে।
রেজওয়ানকে অক্সিজেনের মাধ্যমে রাখা হয়েছে। বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা করা হচ্ছে বলেও জানান প্রফেসর মোজাফফর।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদী খান উপজেলার মনির হোসেন মিন্টু চার সন্তানের মধ্যে বড় রেজওয়ান। তিনি স্ত্রী শিথিল মনিকে নিয়ে মিরপুর এক নম্বর উত্তর বিশিল এলাকায় থাকতেন।
রেজওয়ানের বাবা মনির হোসেন জানান, বনানীর এফআর টাওয়ারের ২১তলায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন রেজওয়ান। অগ্নিকাণ্ডের দিন জীবন বাঁচানোর জন্য ওই ভবনের ২১তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, শনিবার ঢামেকের অর্থোপেডিক্সের বিভাগীয় প্রধান রেজওয়ানকে দেখেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল হলে অস্ত্রোপচার করা হবে।
রেজওয়ানের বাবা তার আহত ছেলের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের কয়েকজনের বার্ন ও ফ্যাকচার আছে। এদের মধ্যে একজনকে শনিবার ছেড়ে দেওয়া হবে।
বনানীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে সকালে হাসপাতালে আসেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এজেডএস/আরআইএস/