শনিবার (৩০ মার্চ) গুলশান ডিএনসিসি কাঁচা বাজারের অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
মন্ত্রী বলেন, এই মার্কেটে এর আগেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছিল। এটাকে ভেঙে নতুন মার্কেট করার জন্য পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে এখন কাজটাকে অত্যন্ত মন্থর করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনার জন্য আমি প্রথমেই সমবেদনা জানাই যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা এক সময় খুব গরিব মানুষ ছিলাম। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বেশিরভাগ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। দীর্ঘদিনের এসব অবকাঠামো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসার ব্যাপারে নমনীয়তা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই।
আমি আশা করি আজকের এই দুর্ঘটনার পর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সবার মধ্যে বোধোদয় না আসার কোনো কারণ নেই। তারা সরকারকে সহযোগিতা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা করা হবে। সরকারের নীতিমালা সাপেক্ষে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
মার্কেটে অগ্নিনিবার্পনের ব্যবস্থা না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অস্থায়ী মার্কেট। আমরা এটাকে পূর্ণাঙ্গ মার্কেটে রূপান্তরের জন্য সিটি করপোরেশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে।
আগুনের ঝুঁকির কারণে এই মার্কেটের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস যে সুপারিশগুলো করেছিল তা বাস্তবায়ন করা হয়নি কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেই সব সুপারিশ এখন থেকে কেউ বাস্তবায়ন না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখানে বহুতল ভবন নির্মাণের কথা শোনা যাচ্ছে, এই উদ্যোগ কতদূর? এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেটির জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা আছে, টেন্ডার করা হয়েছে। আইনগত জটিলতা সৃষ্টি করে সেটিকে স্থবির করা হয়েছে। যদি আদালতে কোনো বিচারাধীন বিষয় থাকে সেখানে সরকার আদালতের বাইরে যেতে পারে না, এ বিষয়টি দেশবাসী ভালো করে জানেন।
যাদের এই বিষয়ে সহযোগিতা করার সুযোগ আছে তারা যদি সহযোগিতা করেন, আমি বিশ্বাস করি সরকার যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে এখানে ২৯১ দোকান আছে। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেছেন আমাদের আবার মার্কেট করে দেন। মার্কেট করতে হয়তো ১৫ থেকে ২০ দিন লাগবে। আবার যখন অস্থায়ী মার্কেট হবে তখন কী ফায়ার হাইড্র্যান্ট থাকবে? মেয়র বলেন, আমি মনে করে যারা ব্যবসায়ী আছেন সময় এসেছে একসাথে কাজ করার জন্য।
ফায়ার এক্সিট, ফায়ার হাইড্র্যান্ট করতে হলে দোকানোর সংখ্যা অনেক কমে যাবে। দোকান মালিকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে দোকান কমানোর জন্য কারা এগিয়ে আসবেন। আমরা চাই সুন্দর একটা প্ল্যান করে কিছু একটা করার জন্য। দোকানদাররা বলছেন, আমরা এগুলো ভাড়া নিয়েছি, নতুন দোকান করা হলে মালিক পাবেন, ভাড়াটিয়ারা পাবেন না। এখানে অনেক ধরণের জটিলতা আছে।
এদিকে মার্কেটটিও চ্যালেঞ্জের মুখে আছে, মার্কেটগুলোতে আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করছেন মেয়র।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
পিএম/জেডএস