শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বারিধারার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবি (উত্তর) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহজাহান সাজু বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
আটক তাসভির উল ইসলাম এফ আর টাওয়ারের ভবন পরিচালনা সোসাইটির সভাপতি দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ভবনটির ২০, ২১ ও ২২ তলার মালিক এবং কাশেম ড্রাই সেল কোম্পানির এমডি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর চকবাজারে এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তবে আসামিদের বিষয়ে তখন বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
এফ আর টাওয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। তিনি ১৯৯৫ সালে ভবনের নকশার জন্য রাজউকে আবেদন করেন। অনুমোদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে রূপায়ন গ্রুপকে ভবন বানানোর জন্য জমি দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে কাজ শুরু হওয়া ভবনটি চালু হয় ২০০৭ সালে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, এফ আর টাওয়ারের ফাইল ঘেটে ১৮ তলা ভবনের নকশা পাওয়া গেছে, যেটার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিলো। তবে আরেকটি ২৩ তলা ভবনের ড্রইং পাওয়া গেছে, যার অনুমোদন নেই।
অনুমোদনের বাইরে উপরের ৫ তলা তৈরির বিষয়ে জমির মালিক ফারুকের ম্যানেজার কামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, ১৮ তলার অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও ২৩ তলা করার বিষয়ে আমাদের আপত্তি ছিলো। কিন্তু এ ভবন পরিচালনা সোসাইটির সভাপতি তাসভির বলেছেন সমস্যা নাই।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯/আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা
পিএম/এমজেএফ