শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় বারিধারার নিজ বাসা থেকে প্রথমে তাসভির এবং রাত ১টার দিকে ফারুককে গ্রেফতার করা হয়। এফ আর টাওয়ারের একাংশের মালিক তাসভির গ্রেফতার
ডিবির (উত্তর) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলাইন সিথিল বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেন।
শনিবার দুপুরে বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। তিন আসামি হলেন এম এইচ ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল এবং বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাসভির উল ইসলাম এফ আর টাওয়ারের ভবন পরিচালনা সোসাইটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ভবনটির ২০, ২১ ও ২২ তলার মালিক এবং কাশেম ড্রাই সেল কোম্পানির এমডি।
এফ আর টাওয়ার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ ভবনের জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ ফারুক। তিনি ১৯৯৫ সালে ভবনের নকশার জন্য রাজউকে আবেদন করেন। অনুমোদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে রূপায়ন গ্রুপকে ভবন বানানোর জন্য জমি দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে কাজ শুরু হওয়া ভবনটি চালু হয় ২০০৭ সালে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, এফ আর টাওয়ারের ফাইল ঘেটে ১৮ তলা ভবনের নকশা পাওয়া গেছে, যেটার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিলো। তবে আরেকটি ২৩ তলা ভবনের ড্রইং পাওয়া গেছে, যার অনুমোদন নেই।
অনুমোদনের বাইরে উপরের ৫ তলা তৈরির বিষয়ে জমির মালিক ফারুকের ম্যানেজার কামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, ১৮ তলার অনুমোদন থাকা সত্ত্বেও ২৩ তলা করার বিষয়ে আমাদের আপত্তি ছিলো। কিন্তু এ ভবন পরিচালনা সোসাইটির সভাপতি তাসভির বলেছেন সমস্যা নাই।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ ও আহত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
পিএম/এমজেএফ