শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে আগুনে পুড়েছে রাজ্জাক সি ফিস ও এসএমসি ফিস এর ছয়টি দোকান। এখানে বিক্রি করা হতো সব সামুদ্রিক মাছ।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচা বাজারের সব দোকান পুড়ে গেছে। এখনও বের হচ্ছে পোড়া গন্ধ। দোকানদাররা এখনও পুরনো স্তূপ থেকে সরাচ্ছেন তাদের জিনিসপত্র। এ সময় মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রাজ্জাক সি ফিস ও এস এম সি ফিস এর ১৪টি ফ্রিজ আগুনে পুড়ে গেছে। দোকানগুলো হলো- ৩৩, ৩৫, ৩৬, ৮২, ৮৪ ও ১০৮।
এস এম সি ফিসের মালিক মন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমার সব শেষ। আমার দোকানের সব ফ্রিজ নষ্ট হয়ে গেছে। দোকানে অবশিষ্ট বলতে কিছু নেই। আমার ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। ২০১৭ সালেও আমার দোকান পুড়েছিল। তখনও সরকারের কাছ থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি।
তিনি বলেন, আমার দোকানে সামুদ্রিক মাছ ভেটকি, কিং স্টার, লবস্টার, কাটার মিন, রূপচাঁদা, ক্যানাল ফিস, চন্দ্র মাছ, রকেট, হেল্প হোয়াইট টাইগার, ব্ল্যাক টাইগার, অক্টোপাস, স্কুইডসহ বিভিন্ন মাছ বিক্রি করতাম। সব দামি দামি সামুদ্রিক মাছ। পাঁচ তারকা ও তিন তারকা হোটেলে মাছ দিতাম। সামনে রোজার ঈদ। সরকার আমাদের যে ক্ষতি পূরণ দেবে, তাই মেনে নিতেই হবে। আমাদের বসার জন্য ব্যবস্থা করে দিলে অনেক সুবিধা হতো।
রাজ্জাক সি ফিসের মালিক মোহাম্মদ রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগেরবার যখন আগুন লাগে, তখনো সরকারের কাছ থেকে আমরা কোনো সাহায্য পাইনি। কষ্ট করে চলতে শুরু করেছিলাম। এর মধ্যে এ দুর্ঘটনা হয়ে গেল। এবার কি করমু, মাথায় ধরতেছে না। আমরা তো পথে বসে গেলাম।
তিনি বলেন, শুনলাম সরকার ১০ হাজার টাকা করে আমাদের দেবে। এ টাকা দিয়ে কি করবো। টেনশনে আমার নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। শুনতেছি বহুতল ভবন করা হবে। আমরা তো ভাড়াটিয়া। বহুতল ভবন হলে দোকান মালিকরা দোকান পাবেন। আমাদের পুর্নবাসনের জন্য সরকার যদি কিছু করতো, কোথাও যদি বসতে দিতো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
এমএমআই/আরবি/