ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছি

ঢাকা: ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরতদের আমার সঙ্গে ‘সেম পেজে’ (দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়তে সহমত) থাকতে হবে। যারা এতে ‘কমফোর্ট ফিল’ করবেন না তাদের ঠিক করে ফেলা উচিত তারা কি করবেন। যারা অন্যায় করবেন তারা কেউই রেহাই পাবেন না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছি।

রোববার (৩১ মার্চ) ভূমি সংস্কার বোর্ডের উদ্যোগে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ভূমি সেবায় অধিকতর গতিশীলতা আনয়নে ই-নামজারির ভূমিকা শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৯৩ হাজারেরও বেশি ই-নামজারি কেস সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী জুনের মধ্যেই সমগ্র দেশে ই-নামজারি ব্যবস্থা চালু করা হবে। নামজারি সম্পন্ন করার সময়কাল ২৮ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও অনাবাসী বাংলাদেশিদের জন্য তা আরো কমিয়ে আনার ব্যবস্থা চলছে।

তিনি বলেন, সেবাগ্রহীতাদের সুবিধার্থে অভিযোগ কেন্দ্র গঠনের জন্য হটলাইন, সরকারের সঙ্গে ভূমি সম্পর্কিত বিভিন্ন লেনদেনের জন্য ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করণের জন্য একটি পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপন, অনাবাসী বাংলাদেশিদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু এবং ল্যান্ড ব্যাংক করার বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন। এগুলো মূলত পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ইন্টিগ্রেটেড অটোমেশনের ভেতর নেওয়ার পর্যায়ক্রমিক ধাপ।

মন্ত্রী বলেন, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সু-শাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো। ভূমি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন যেন টেকসই হয় সেজন্য আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি ৯০ দিনের প্রাথমিক কর্মসূচি গ্রহণ করি। কর্মসূচিগুলোর অনেকগুলোই ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকিগুলোও শেষ হওয়ার পথে। ৯০ দিন পর আমরা সবার সঙ্গে আমাদের কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবো।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভূমি সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমান পাটওয়ারী বলেন, ভূমি সেক্টরকে জনবান্ধব করে গড়ে তুলতে চাই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকরা যেকোনো জায়গা থেকে ডিজিটাল ভূমি সেবার সুবিধাগুলোর সুফল পাচ্ছেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য সুলতান মাহমুদ।  

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সাবেক পরিচালক ফায়েকুজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. তসলীমুল ইসলাম ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। সভাপতিত্ব করেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
এসএমএকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।