সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে রংপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর চার সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল নগরীর স্থাপনাগুলো পরিদর্শন শুরু করেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক ইউনুস আলী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন সূত্র মতে, রংপুরের তিন শতাধিক বহুতল আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। ফলে ভবনগুলোর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকি আছে। এসব ভবনে অগ্নিঝুঁকি কমাতে এবং ত্রুটিপূর্ণ ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের পরিদর্শন দল কাজ শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, রংপুর মহানগরীতে নির্মিত ভবনগুলোর বেশির ভাগেরই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই। কোথাও কোথাও যন্ত্র রাখা হলেও সেগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দিলেও কথা শুনছেন না ভবন মালিকেরা। এমনকি একাধিক ভবনে বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেও টনক নড়েনি ভবন মালিকদের।
জানা যায়, নগরীর প্রায় ৫০টি বহুতল ভবন রয়েছে, যেগুলো আইনের তোয়াক্কা না করে নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো ভবন তৈরি করে বাণিজ্যিক ও আবাসিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুধু বহুতল ভবনই নয়, নগরীর সিটি করপোশেন বাজার, নবাবগঞ্জ বাজার, মিনি সুপার মার্কেট, সুপার মার্কেট, বিলাশ বহুল শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও ফায়ার অ্যালার্ম নেই।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক ইউনুস আলী বাংলানিউজকে বলেন, আজ থেকে রংপুরের ভবনগুলো পরিদর্শনে আমাদের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মাঠে নেমেছেন। যেসব ভবনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হবে। প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব আইনে ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, নগরীতে অনেক ভবন আছে, যার মালিকেরা আইন মেনে ভবন তৈরি করেননি। আমরা তাদের চিঠি দেয়া শুরু করেছি। পাশাপাশি বর্তমানে সিটি করপোরেশন যেসব ভবনের নকশা অনুমোদন দিচ্ছে, সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এমএইচএম