মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব নয়টি পাটকলে টানা ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করছেন তারা। ধর্মঘটের এ তিনদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা করে রাজপথ অবরোধেরও কর্মসূচি রয়েছে শ্রমিকদের।
মজুরি কমিশন, পাট খাতে অর্থ বরাদ্দ, বদলি শ্রমিকদের স্থায়ী করণসহ নয় দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিক লীগ সিবিএ ননসিবিএ পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয় পাটকলের শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে ধর্মঘট ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। মহানগরে নতুন রাস্তার মোড়ের কবির বটতলা সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আন্দোলনরত শ্রমিক নেতারা বলেন, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পি. এফ. গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বিমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনঃবহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করাসহ নয় দফা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে ছিলো। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে আবার নামতে বাধ্য হয়েছি।
বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মুরাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বিজেএমসি চেয়ারম্যান গত ২৮ মার্চের মধ্যে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে আবারও আন্দোলনে নামতে হয়েছে।
তিনি জানান, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলিম, ইস্টার্ন এবং যশোরের কার্পেটিং ও জেজেআই জুট মিলে বর্তমানে ১৩ হাজার ২৭১ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এমআরএম/আরআইএস/