মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন অসহায় বিআরটিসি শ্রমিক কর্মচারীদের সংগঠনের আহ্বায়ক চালক কালাম মোল্লা।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি। দেশের সাধারণ জনগণকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি বিআরটিসি প্রতিষ্ঠা করেন। যেখানে বলা হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্যই হবে ‘সেবাই আদর্শ’। কিন্তু কালের পরিবর্তনে বিআরটিসি তার সেবার মান হারিয়ে রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল, অবরোধের কারণে আস্তে আস্তে তার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের ১০ থেকে ১২ মাসের বেতন বকেয়া। চাকরি শেষে পেনশনের টাকা আট থেকে ৪০ বছর ঘুরেও পাওয়া যায় না। শ্রমিক কর্মচারীরা মানবেতন জীবন যাপন করছে। এদিকে নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন বিআরটিসি’র কর্মকর্তারা।
সরকারের কাছে শ্রমিক-কর্মচারীদের পক্ষে নয় দফা দাবি তুলে ধরে আহ্বায়ক কালাম বলেন, বিআরটিসিকে রাষ্ট্রীয় খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের অবসরকালীন ছুটিতে (এলপিআর) যাওয়ার পর পাওনা টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। প্রধান কার্যালয়ের সঙ্গে সব ডিপোর বেতন একই দিনে পরিশোধ করতে হবে। জ্বালানি/ইঞ্জিন/বডি/টায়ার/গ্লাস ড্যামারেজ অবৈধভাবে কর্তন করা যাবে না। দুর্ঘটনা কবলিত শ্রমিক-কর্মচারীদের সহযোগিতা করার জন্য তাৎক্ষণিক বিআরটিসির পক্ষ থেকে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সর্বস্তরের কারিগর, চালক ও কন্ট্রাক্টরসহ সকল শ্রমিক কর্মচারীদের পদোন্নতি দিতে হবে। সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের ইউনিফর্ম ও ফ্লুভার দিতে হবে। কর্মকর্তাদের বেতন প্রতিমাসের এক তারিখে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন ১০ থেকে ১২ মাস বাকি থাকে, তাই আমাদের দাবি সকলের বেতন একই সঙ্গে দিতে হবে। দাবি আদায়কারী কোনো শ্রমিক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক হয়রানিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না।
মানববন্ধনে শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চালক মফিজুর রহমান, নয়ন, ফয়সাল, কাওছার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এমএইচ/আরআইএস