ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাসচালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৯
বাসচালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে: মেয়র আতিক মেয়র আতিকুল ইসলাম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ডোপ টেস্ট ও টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া বাস চালাতে পারবে না চালকেরা। এ লক্ষ্যে চালকদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ডোপ টেস্ট।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।  

সড়কে শৃংখলা ফেরাতে ডিএনসিসির নেওয়া নানামুখী উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত।

মেয়র বলেন, চালকদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। ডোপ টেস্ট ও টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া ছাড়া কোনো চালক মাঠে নামতে পারবে না। বাস চালাতে পারবে না।
 
সম্প্রতি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ছাত্র আবরারের মৃত্যুর পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।  

এসময় সিটি করপোরেশন ছাড়াও, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

এদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জে. মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মীর রেজাউল আলম, বিআরটিএ পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী প্রমুখ।
 
সভায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। বিআরটিএকে দালালমুক্ত করা, চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানোর পরিবর্তে চালকদের বেতন কাঠামোর আওতায় আনা, বাস স্টপেজ, রোড সাইন সচল করা, গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো, ছাত্র-ছাত্রীদের অর্ধেক ভাড়া নিশ্চিত করা, হালকা যানবাহনের লাইসেন্স নিয়ে ভারী যানবাহন চালানোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, ফুট ওভারব্রিজ না করে জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে জোর দেওয়ার মতো দাবিগুলো অন্যতম।
 
এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা বিআরটিএকে দালালমুক্ত করতে এরইমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা ১৩জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছি। তারা সার্বক্ষণিকভাবে বিআরটিএতে কাজ করছে এবং অনেক দালালকে শাস্তি দিয়েছে।
 
এসময় ছাত্রদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় দালালদের শাস্তি দিলেও কর্মকর্তাদের কেন দেওয়া হচ্ছে না। এসময় তিনি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটরা আমাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ’র অভিযানে ছাত্রদের যুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
 
সভায় ছাত্রদের দাবি ও বিভিন্ন সংস্থার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবশেষে বক্তব্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চালকদের ডোপ টেস্টের আওতায় নিয়ে আসছি। এটা করতে পারলে সড়কে শৃঙ্খলা অনেকটাই ফিরে আসবে। তবে এটা একদিনেই হবে না। কিছুদিন সময় লাগবে। আমি দক্ষিণের মেয়রের সঙ্গে কথা বলবো। বাস মালিক ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
 
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা অনেকগুলো কাজ শুরু করেছি। তারমধ্যে লাল রং দিয়ে বাস স্টপেজ লেখা নিশ্চিত করা, জেব্রা ক্রসিং ও পুশ বাটন ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু, শুধু জেব্রা ক্রসিং নয় ফ্লাশ লাইট সিস্টেম চালু প্রভৃতি। আমরা চাই সম্মিলিতভাবে কাজ করতে। সেজন্য আমরা সবকিছু জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসেছি। আজ ছাত্ররা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারছে এবং সেই প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছে।
 
 বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।