বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দারের আদালতে অপহরণ, গণধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি বিচার বিভাগের তদন্তের নির্দেশ দেন।
ওসি ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- একই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আ স ম মাহমুদুল হাসান ও এসআই লাইজু, শফিকুল ইসলাম রনি, সাগর, শামীম, আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসনে, হানিফ, স্বপন, বিলকিস আক্তার, শিলা এবং ফারজানা আক্তার শশী।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, তিনি ২ সন্তানের মা। তালাকপ্রাপ্তা হওয়ায় অভাব-অনটনের কারণে কাজের সন্ধান করেন। পূর্বপরিচিত আসামি শফিকুল ইসলাম রনি তাকে গত ১২ মার্চ অনলাইনে থ্রি-পিস ও শাড়ি কেনা-বেচার একটি প্রতিষ্ঠানে কমিশনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে করাতিটোলায় নিয়ে যান। এসময় শশী ও বিলকিস তাকে তাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। এরপর তাদের সহযোগিতায় বাড়ির মালিকের ছেলে আসামি স্বপন তাকে ধর্ষণ এবং তা ভিডিও করেন।
পরে ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জীবন, বিপ্লব, হানিফ, সাগর ও আলাউদ্দিন তাকে মারধর এবং আবার ধর্ষণ করেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান সবাই।
একপর্যায়ে মামলা করতে যাত্রাবাড়ী থানায় যান ওই নারী। সেখানে ওসিকে না পাওয়ায় এসআই প্রদীপ কুমার আসামি এসআই লাইজুকে দায়িত্ব দেন। পরে লাইজু ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন। এরপর লাইজু ওই নারীকে প্রস্তাব করেন, ওসিকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিলে ধর্ষণের মামলা নেওয়া হবে, তা না হলে পাল্টা তাকেই মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে। হলোও তাই, ঘুষের টাকা না দিতে পারায় ওই নারীকে পতিতা সাজিয়ে গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়।
ধর্ষণের মামলা করার জন্য ওসি এবং দুই এসআইয়ের ঘুষ দাবি এবং পরবর্তীতে ঘুষ না পেয়ে পাল্টা ওই নারীকে পতিতা সাজিয়ে দেওয়া, ধর্ষণে সহযোগিতা- এমন অভিযোগ করা হয়েছে মামলাটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৯
এমএআর/টিএ