বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) রাতে আটকের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।
তিনি জানান, মুগদার একটি বাসা থেকে সুপ্রভাত পরিবহনের ঘাতক বাসটির মালিক গোপালকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে ডিবি জানায়, গত ১৯ মার্চ ভোরে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকা থেকে ভোরে গন্তব্যে রওনা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫)। রাজধানীর শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় পৌঁছালে মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া সুলতানাকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে বাসটি। এরপর বাসের যাত্রীরা চালক সিরাজুলকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ সময় উপস্থিত জনতা বাসের ক্ষতি করতে পারবে এমন আশঙ্কায় বাস মালিক ননী গোপালের নির্দেশে ড্রাইভিং সিটে বসেন কনডাক্টর ইয়াছিন। কোনো ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা স্বত্ত্বেও বাস নিয়ে দ্রুত পালানোর সময় নর্দ্দা এলাকা পার হতেই বিইউপি শিক্ষার্থী আবরারকে বাসচাপা দিয়ে পালিয়ে যান ইয়াছিন। এতে ঘটনাস্থলেই আবরারের মৃত্যু হয়।
২৬ মার্চ রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি এলাকার একটি ইটভাটা থেকে ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন সকালে মধ্যবাড্ডা থেকে বাসের হেলপার ইব্রাহিমকে প্রেফতার করে ডিবি।
সড়ক দুর্ঘটনায় গুলশান থানায় নিহত আবরারের বাবার দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে ডিবি।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
পিএম/এসআরএস