শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে নিচসার অষ্টম মহাসমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, একজন চালককে প্রশিক্ষণ দিতে মাত্র ১১০০ টাক খরচ হয়।
তিনি বলেন, সড়কের উপর চাপ কমাতে হবে। এজন্য রেলপথ ও নৌপথকে গুরুত্ব দিতে হবে। আধুনিকায়ন করতে হবে। তাহলে সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে যাবে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শর্ট টাইম, মিড টাইর্ম এবং লং টাইর্ম নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। গাড়ি এবং চালকের ফিটনেস অবশ্যই চেক করতে হবে। চালকদের অবশ্যই প্রশিক্ষিত হতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কারণে হয়। কারণগুলো খুঁজে বের করে সমাধান করতে পারলেই আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সবার পছন্দের নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি নিরাপদ সড়কের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তবে আজ নিরাপদ সড়কের পাশাপাশি নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে হবে। নিরাপদ সড়ক এবং নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন ২৬ বছর ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য কাজ করছেন। আমাদের সবাইকে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে। বাস মালিকদের চালক নিয়োগের সময় তার লাইসেন্স চেক করতে হবে। পথচারীদের সচেতন হতে হবে।
‘পাবলিক এবং প্রাইভেট পার্টনার শিপের মাধ্যমে যানবাহন ব্যবস্থা পরিচালনা করতে হবে। পাঠ্যবইয়ের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সড়কে সচেতনতার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের সড়কগুলো নিরাপদ করতে পারবো। ’
সকালে মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
এতে সারা দেশের ১২০টি শাখার নিরাপদ সড়ক চাই-এর সদস্যরা অংশ নেন। সন্ধ্যায় সমাবেশ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ৬ এপ্রিল ২০১৯
আরকে/আরবি/