শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলে পুলিশ অফিসার্স মেস-এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যত্রতত্র রাস্তার আশপাশে যে পরিমাণ ইটভাটা গড়ে উঠছে তাতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
অপরদিকে ইটভাটার ধোয়ায় মানুষও নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে পরিবেশ অধিদপ্তরের পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল আছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। তবে এসব সমস্যার জন্য যদি পরিবেশ পুলিশ থাকতো তাহলে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারতো বলে আমার মনে হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি নদী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঢাকাসহ আশপাশের নদীগুলোর পানিকে আর পানি বলা যাবে না। বুড়িগঙ্গার পানির কালার ও দুর্গন্ধের কারণে নদীর কাছে যেতে ইচ্ছে করে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে নদীর পানি নির্মল থাকে। নদীর পাড়গুলো এমন থাকে যেখানে মানুষ বেড়াতে যায়।
উন্নত দেশের নদীগুলো সংরক্ষণ করা হয়। আমাদের এদেশেও সম্ভব। সেজন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। যারা নদীতে ময়লা আর্বর্জনা ফেলে তাদের নিষেধ করতে হবে। নদীকে সংস্কার করে যেভাবে ব্যবহার করা উচিত সেভাবে ব্যবহার করলে পরিবেশ বজায় থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরে গোপালপুর সার্কেল অফিস, সখিপুর এসআই কোয়ার্টার, মির্জাপুর এসআই কোয়ার্টার, পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ডাক্তার ও নার্স ডরমিটরি, পুলিশ হাসপাতাল অপারেশন থিয়েটার, সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
আরএ