ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ওয়াও ফেস্টিভ্যালে নারীত্বের জয়গান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৯
ওয়াও ফেস্টিভ্যালে নারীত্বের জয়গান

ঢাকা: নারীবাদ মানে পুরুষের উপর শ্রেষ্ঠত্ব নয়।  কারো উপর কর্তৃত্ব ঘোষণাও নয়।  নারী পুরুষ তৃতীয় লিঙ্গ সবার সমান সুযোগ সৃষ্টি করাই হচ্ছে প্রকৃত নারীবাদ।  

রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে দুইদিন ব্যাপী উইমেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড– ওয়াও ফেস্টিভ্যালে উঠে আসে নারীবাদের এ সংজ্ঞায়ন। এই উৎসবের সেমিনার সিম্পোজিয়ামে সামাজিক প্রথা, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা,পুরুষ ও পুরুষত্ব এবং নারীবাদের মতো বিষয়ের উপর আলোচনা হয়।

 

এখানে উঠে আসে সমাজের বিভিন্ন স্তরের নারীদের বাস্তবতা, নিজেদের উন্নতির পথে তারা যে বাধা ও প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয় সেই সব গল্প।  উৎসবে ২০টি বিষয়ের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা গল্প বলাসহ বিভিন্ন নারী দলের পরিবেশনা হয়। এছাড়া বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে স্পিড মেন্টরিংয়েরও সুযোগ পান অংশগ্রহণকারীরা।
 
শনিবার (৬ এপ্রিল) উৎসবের শেষ দিনে আলোচনা পর্বে অন্যতম বিষয় ছিলো ‘নারীবাদ কি? বোঝা না বোঝা’ শীর্ষক আলোচনা। এতে অংশ নেন নারী নেত্রী নিজেরা করি’র সমস্বয়ক খুশি কবীর, সংবাদকর্মী চলচ্চিত্র নির্মাতা মুনমুন শারমীন সামস এবং গবেষক উন্নয়ন কর্মী উষা সায়ে চাক।  
খুশী কবির বলেন, সমাজের প্রচলিত কাঠামো যা যুগ যুগ যুগ আমাদের প্রতিনিয়ত শেখানো হয় তা ভেঙে নারীসহ সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করাই নারীবাদ।  নারীবাদ কখনও থেমে থাকতে পারে না।  এ আন্দোলন চলমান।  

শারমীন শামস বলেন, নারীবাদকে সব সময় ভুল বোঝানো হয়েছে।  এটি কখনই পুরুষতন্ত্রের বিপরীত না।  নারীবাদ কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে না।  সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে চায় নারীবাদ।

দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী চাকদের মাঝে প্রথম স্নাতক সম্পন্ন করা নারী উষা সায়ে চাক নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, বৈষম্যমূলক কটূক্তি করার কারণে তার মা ২৪ বছর চিকিৎসকের কাছে যাননি।    

আলোচনা পর্বে আরেকটি বিষয়, ‘ভালো মেয়ের সংজ্ঞা’। এতে অন্যদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ওয়াও ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জুড কেলি।  

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমির ক্যাপ্টেন আফসানা শাহীন, ব্র্যাকের নারী বিষয়ক কর্মসূচির সমন্বয়ক ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা।  

দুইদিনের এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। এখানে নারীদের তৈরি গহনা, শাড়ি, ফতুয়াসহ নানা ধরনের পণ্য স্থান পায়। শেষে অনুষ্ঠিত হয় কনসার্ট।
 
এই ফেস্টিভ্যাল বিশ্বের ছয়টি মহাদেশে ১৭টি দেশে ৬০ টি আয়োজনের মাধ্যমে ২০ লাখ মানুষকে এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করতে সমর্থ হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
আরএইচএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।