তবে অপেক্ষামান যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট বিআইডব্লিউটিসি’র বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বৈরী আবহাওয়ায় শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর আড়াই ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। যে কারণে ঢাকামুখী অপেক্ষামান যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়।
সর্বশেষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সাড়ে তিনশো’র মতো যানবাহন নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের মধ্যে প্রায় আড়াই’শ সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক ও শতাধিক যাত্রীবাহী বাস রয়েছে।
এদিকে নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে একটি ফেরি বিকল থাকায় বাকি ১৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বলেও জানান আব্দুল্লাহ।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট বিআইডব্লিউটিসি’র বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন হোসেন বাংলানিউজকে জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে মূল সড়কে উঠা-নামার রাস্তায় কাদায় পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ায় ফেরি লোড-আনলোড করতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। যে কারণে ফেরির ট্রিপ কম হচ্ছে।
এতে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষামান যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় শতাধিক ট্রাক ও প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি বাস নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
কেএসএইচ/আরআইএস/