কুড়িল ফ্লাইওভারের কাছে লেভেল ক্রসিংয়ে অধিকাংশ সময় ট্রেনে কাটা পড়ে পথচারী নিহত হন। সেখানে নেই কোনো গেট কিপার।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রেলওয়ে অ্যাক্ট ১৮৯০ এবং রেলওয়ে ম্যানুয়াল অনুসারে গেট কিপার নিয়োগে জটিলতা দেখা গেছে। সড়ক বিভাগসহ অন্য ডিপার্টমেন্টের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে গেট কিপার নিয়োগের বিধান রয়েছে। তবে এই বিধান বাস্তবে এখনও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। ফলে এসব লেভেল ক্রসিং যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারায় এবং প্রয়োজনীয় গেটকিপার না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, রেল ক্রসিংয়ে প্রতিনিয়তই রক্ত ঝরছে, এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই। জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতায় এমন ঘটছে। গেটকিপারের বেতন ভাতার বিষয়টিও স্পষ্ট ছিলো না। নিয়োগকৃত জনবল রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাবটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, যা বিবেচনাধীন রয়েছে। বিষয়টি অস্পষ্ট হলেও লেভেল ক্রসিং অরক্ষিত থাকবে না, গেটকিপার নিয়োগ দেওয়া হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধকল্পে হাইওয়ে লেভেল ক্রসিংগুলোতে সিগন্যালিং ব্যবস্থাপনাও আধুনিক করা প্রয়োজন। শুধু গেটকিপার নিয়োগ করে রেলপথে রক্ত ঝরা কমবে না। লেভেল ক্রসিংগুলোতে পৃথক সড়ক করে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন সড়ক বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক শামসুল হক বাংলানিউজকে বলেন, রেলপথে উন্নয়ন কম হচ্ছে না। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। আগে পরিবেশ সুন্দর করতে হবে, তবেই উন্নয়ন। বিনিয়োগের অন্যতম শর্ত, পরিবেশ সুন্দর করতে হবে। অথচ প্রতিদিন রেলে কাটা পড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। তাহলে এটা হচ্ছে রক্তখরনের উন্নয়ন। জনবহুল দেশে রেল চালালে আগে পরিবেশ সুন্দর করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রেলপথে লেভেল ক্রসিং থাকবে না। পৃথক সড়ক করতে হবে। উপরে রাস্তা হবে নিচে ট্রেন চলবে। লেভেল ক্রসিং যতদিন থাকবে ততদিন রেলপথে রক্ত ঝরবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এমআইএস/এমজেএফ