রাবির দুই শিক্ষার্থী হলেন- আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মহতাসিম রাফিদ খান এবং অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তুর্য রায়। রাফিদ খানে গ্রামের বাড়ি খুলনায় এবং তুর্যের বাড়ি নীলফামারীর ডোমারে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে মহানগরের মুন্নাফের মোড় এলাকার একটি ছাত্রাবাসে ওই দুই শিক্ষার্থী মদ পান করেন। এতে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (৭ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে রাফিদের মৃত্যু হয়। সকাল ৮টার দিকে তুর্য রায়ও মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তারা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের ছাত্রসংগঠনের কর্মী ছিলেন জানিয়ে প্রক্টর বলেন, দু’জনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
এদিকে, পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত বেলি দিমিত্রী নামের ওই রাশিয়ান প্রকৌশলীসহ চারজন মদপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শনিবার সন্ধ্যায় গুরুতর অবস্থায় তাদের পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কিন্তু সেখান তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দিমিত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন মিকায়েল দিমা ও লোগেচেভ লেভ নামের দুই প্রকৌশলী। আরেক প্রকৌশলীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাফিস রহমান সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই একজনের মৃত্যু হয়। অপর তিনজনের মধ্যে দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যজন সুস্থ হয়ে ওঠায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মদপানে কারণে বিষক্রিয়ায় রাশিয়ান ওই প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে।
রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আলাদা ঘটনায় মারা যাওয়া তিনজনের মরদেহ বর্তমানে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পরিবার বা প্রতিষ্ঠানের লোকজন এলে ময়নাতদন্ত শেষে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
এসএস/এইচএ/