শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝড়ের এ তাণ্ডব চলে। জেলা সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রাতে হঠাৎ করে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে জেলার বেশকিছু এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এর মধ্যে জেলা সদর, শিবচর, কালকিনি ও রাজৈর উপজেলার অন্তত শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। উপড়ে পড়েছে সহস্রাধিক গাছপালা।
জেলার একমাত্র প্রসিশেস প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের চালা উড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। এতে বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়টির পাঠদান।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার কামালদীসহ বেশকিছু এলাকার সড়কে গাছ পড়ে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিলো যান চলাচল। এছাড়া ঝড়ের কারণে সদর, কালকিনি, রাজৈর ও শিবচর উপজেলার বেশকিছু এলাকায় এখনও বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে সাধারণ মানুষের।
মাদারীপুরের প্রসিশেস প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবির মাহমুদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, রাতে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যালয়ের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। প্রতিবন্ধীতে পাঠদানের প্রয়োজনীয় বই, খাতা ও আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০ু৭, ২০১৯
এসআরএস