রোববার (৭ এপ্রিল) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. দিদারুল আলম এ জেল ও জরিমানা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড, ১০ জনের ৫ হাজার টাকা ও এক জনের ৪ হাজার টাকাসহ মোট ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ৩০ কেজি ইলিশ ও ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ ১০টি নৌকা জব্দ করা হয়।
দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, ইলিশের অভায়শ্রমে জেলেরা যাতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার করতে না পারে সে জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোস্টগার্ড নিয়ে জেলা ও দৌলতখান মৎস্য বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে।
দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত অভিযান দলটি মেঘনার মেদুয়া, মদনপুর ও ভবানিপুর থেকে ইলিশ ধরার সরঞ্জামসহ ১৮ জেলেকে আটক করে।
পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত প্রত্যেকের জেল-জরিমানা করেন।
এছাড়াও জব্দকৃত জাল তুলাতলী ঘাটে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে এবং মাছ বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।
মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকাকে অভায়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করায় সব ধরনে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
আরএ