রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অবরোধ শুরু করে তারা। এসময় সড়কে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রোববার দিনভর ঘন ঘন লোডশেডিং এবং বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় পরীক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও স্থানীয় ছাত্ররা সড়ক অবরোধ করে। রাত ৯টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলে। পরে বিদ্যুৎ আসায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয় এবং যান চলাচল সচল হয়।
অবরোধে অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিরোজ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু এ এলাকায় শিক্ষার্থীরা থাকেন, তাই সবসময় এখানে বিদ্যুৎ থাকা জরুরি। কেননা কোনো না কোনো পরীক্ষা লেগেই থাকে। অথচ আজ সারাদিন বিদ্যুৎ নেই।
আরেক শিক্ষার্থী মুনতাসির বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার (৮ এপ্রিল) আমার পরীক্ষা, বিদ্যুৎ না থাকায় পড়াশুনা করতে পারছি না। সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা যেন দ্রুত এ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমাধান করে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেকটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তিনটি ইনসুলেটর থাকে। বজ্রপাতের কারণে একটি খুঁটির তিনটি ইনসুলেটর ফেটে গিয়েছিল। সংযোগ সচল করতে ওই এলাকার প্রত্যেকটি খুঁটিতে উঠে চেক করতে হয়েছে। তাই সময় লেগেছে। কেননা বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, সমস্যাটা কোথায় ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
আরবি/