একসময় মাটির জিনিস তৈরিতে পুরো চৈত্রমাস জুড়ে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করতেন। আর ব্যবসায়ীরাও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সেই পণ্য বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করতেন।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখনো মাটির পণ্যের চাহিদা ফুরিয়ে যায়নি। যদিও আগের মতো ব্যবসা আর নেই।
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাটির তৈরি নান্দনিক হাঁড়ি-পাতিল, গ্লাস, কংকাল, টিয়া পাখি, সিংহ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মাছ, মুরগি, ছানা, হাঁস ও হাতিসহ নানা পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। মূলত পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এসব পণ্য গ্রামাঞ্চল থেকে নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মাটির তৈরি অনেক পণ্যে কারুকাজ নিয়েও ব্যস্ত দোকানিরা। তারা যেমন মাটির তৈরি পণ্যের মজুদ বাড়াচ্ছেন, সেই সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকার একটি মৃৎশিল্পের দোকানে ছোট মেয়ের জন্য মাটির তৈরি খেলনা কিনতে এসেছেন রাশেদা চৌধুরী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মাটির তৈরি পণ্য বাঙালির ঐতিহ্য। এছাড়াও আধুনিক বিজ্ঞান বলছে, এসব পণ্য স্বাস্থ্যসম্মত। তাই মেয়ের খেলনার পাশাপাশি ব্যবহার্য জিনিসপত্রও কিনবো।
স্ত্রী-সন্তানকে মোহাম্মদপুর থেকে বৈশাখী পণ্য কিনতে এসেছেন আমিনুল ইসলাম খান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘুরে দেখছি বিভিন্ন পণ্য, এখনো কেনা হয়নি। তবে ছেলের জন্য খেলনা কিনবো।
দোয়েল মৃৎশিল্প অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফটের সত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মাটির তৈরি বৈশাখী পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বিকিকিনি খুব বেশি হচ্ছে না। তবে পহেলা বৈশাখ ঘনিয়ে এলে বিক্রি বাড়বে। শান্ত মৃৎশিল্পের সত্বাধিকারী টিটু আহমেদ বলেন, গাজীপুর থেকে মাটির তৈরি পণ্য নিয়ে এসেছি। আমি নিজেই কারুকাজ করছি। ১২০ আইটেমের পণ্য রয়েছে দোকানে। বিকিকিনি মোটামুটি ভালোই চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৯
টিএম/এএ