সোমবার (৮ এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় শেরাটন কনভেনশন সেন্টারে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৪০তম অ্যাসেম্বলিতে ‘পার্লামেন্ট অ্যাজ প্ল্যাটফর্ম টু এনহ্যান্স এডুকেশন ফর পিস সিকিউরিটি অ্যান্ড রুল অব ল’ শীর্ষক জেনারেল ডিবেটে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় ১৪০তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি প্রেসিডেন্ট, আইপিইউ প্রেসিডেন্ট, বিভিন্ন দেশের স্পিকার, প্রতিনিধি দলের প্রধান ও সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিবেটে স্পিকার বলেন, শান্তি, নিরাপত্তা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার বিস্তার জরুরি। শিক্ষা অন্যতম প্রধান মানবিক অধিকার-যা জনগণকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করে, শান্তির্পূণ ও অর্থবহ জীবনধারণ করতে শিখায় এবং সর্বোপরি রাষ্ট্র ও বিশ্ব সম্পর্কে আলোকিত করে তোলে।
জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা পত্রের আর্টিকেল ২৬ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার অধিকার সবার। অন্তত প্রাথমিক ও মৌলিক পর্যায়ে অবাধ শিক্ষা অর্জনের সুযোগ বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে। প্রযুক্তি ও পেশাগত শিক্ষা সাধারণভাবে আয়ত্বাধীন থাকবে এবং উচ্চ শিক্ষাগ্রহণে মেধার ভিত্তিতে সমানভাবে সুযোগ থাকতে হবে।
স্পিকার বলেন, আইপিইউ’র মত বৃহৎ ফোরামে সারা বিশ্বের সংসদ সদস্যরা সমবেত হয়েছেন-এ প্রতিফলন ঘটাতে যে, শিক্ষা বিস্তারের প্ল্যাটফর্ম হতে হবে সংসদ। শান্তির্পূণ পরিবেশ, স্থায়ী নিরাপত্তা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে শিক্ষার অধিকার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ১৯৭২ সালে প্রথম শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। সার্বজনীন, গণমুখী, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে অপর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। তৃণমূল পর্যায়ে কারিগরি শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে আইসিটি শিক্ষা, ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৯
এসকে/ওএইচ/