ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর শরীর ঝলসে দিল স্বামী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৯
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর শরীর ঝলসে দিল স্বামী গরম পানিতে ঝলসে দেয়া হয়েছে গৃহবধূর শরীর/

মানিকগঞ্জ: ‘গামছায় ময়লা কেন?’ -এমন সামান্য অজুহাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর শরীর গরম পানিতে ঝলসে দিলো পাষণ্ড স্বামী। মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা এলাকায় আব্দুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার (২৩) দেওয়া গরম পানিতে ঝলসে গিয়ে ওই গৃহবধূ এখন মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। ৩০ শতাংশ ঝলসে যাওয়া ওই গৃহবধূকে চিকিৎসক শঙ্কামুক্ত জানালেও ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। 

ঘটনার একদিন পর সোমবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে গৃহবধূর বাবা বিশা খাঁ বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।  

সদর থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে সদর উপজেলা বেউথা গ্রামে আব্দুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার (২৩) সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়।

পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজন বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো। বর্তমানে তার মেয়ে সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এদিকে ঘটনার দিন (৭ এপ্রিল) দুপুরে সুজন মিয়া গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলে তার মেয়েকে। গরম পানি হওয়ার পর সুজন গামছা নিয়ে আসতে বলে। গামছা নিয়ে যাওয়ার পর তাতে ময়লা কেন মর্মে তার মেয়েকে মারধর করে।  
এক পর্যায়ে গোসলের গরম পানি তার মেয়ের শরীরে ঢেলে দেয়। এতে তার মেয়ের পিঠ ও দুই হাত ঝলসে যায়।  

ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সন্ধ্যায় তার মেয়েকে সুজনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।  

হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর গৃহবধূ বাংলানিউজকে জানান, প্রায় সময় কোনো না কোনো অজুহাতে তার স্বামী তাকে মারধর করতো। রোববার তাকে হত্যার উদ্দেশে শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয় বলেও দাবি করেন তিনি।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে  জানান, গরম পানিতে ওই গৃহবধূর ৩০ শতাংশ শরীর ঝলসে গেছে। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত থাকলেও এ ধরনের রোগীকে ৭২ ঘণ্টা অভজারভেশনে রাখা হয়।  

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জমান জানান, শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে ভিকটিমের বাবা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
কেএসএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।