ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চক্রাকার বাসে স্বস্তি মিলেছে যাত্রীদের

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৯
চক্রাকার বাসে স্বস্তি মিলেছে যাত্রীদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাত্রী ওঠানোয় চক্রাকার বাস নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা

ঢাকা: রাজধানীতে বাসে বাসে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। তাদের প্রতিযোগিতার বলি হয়ে কতো শত প্রাণ ঝরে গেছে অকালে। অন্যদিকে ভাড়া পরিশোধের পরও স্বস্তি আসে না ঘরে ফেরা মানুষের। এক প্রকার ‘জিম্মি’ হয়েই যেনো চলতে হয় যাত্রীদের।

তবে ভিন্নতাও রয়েছে কিছু কিছু বাস সার্ভিসে। ভ্যাপসা গরমে অতিরিক্ত যাত্রী আর ভাড়া নিয়ে চালকদের সঙ্গে নেই কোনো তর্ক-বিতর্ক।

যে যার মতো নির্দিষ্ট স্টপেজ থেকে টিকিট কেটে বাসে উঠছেন। বাসের সহকারী যাত্রীদের নামার ব্যবস্থা করে টিকিট চেক করেই আবারও উঠাচ্ছেন যাত্রী। রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থার দ্বিতীয়  চিত্রটি সদ্য ধানমন্ডি এলাকায় চালু হওয়া চক্রাকার বাস সার্ভিসের।  

সোমবার (০৮ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে ও বাসে চড়ে এ চিত্র পাওয়া গেছে।  

গত ২৭ মার্চ থেকে ধানমন্ডি, সোবহানবাগ, নিউমার্কেট, আজিমপুর, পলাশী এলাকায় চলছে এ বাস। মোট দুই রুট নিয়ে ১১টি অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত (এসি) বাসগুলো স্টপেজ ছাড়া থামছে না, যাত্রীরাও নির্দিষ্ট স্থানেই অপেক্ষা করছেন বাসের জন্য।

উদ্বোধনের পর ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে যাত্রীদের মধ্যে। তারা বলছেন, বাসে বাসে রেষারেষি বন্ধ করতে রাজধানীর পুরো অঞ্চলের একেকটি রুটে একটি করে কোম্পানির বাস চালু করা উচিৎ। এতে বাসে বাসে প্রতিযোগিতা কমার সঙ্গে যানজটও কমবে উল্লেখযোগ্য হারে।

এর আগে ঢাকা উত্তর সিটির প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক বাস কোম্পানির আধিক্য কমাতে বাস রুট রেশনালাইজেশন নামে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকার মোট ৬টি রুট করে সাড়ে চার হাজার বাস নামানোর। দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে গঠিত ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ কমিটি দেখভাল করছেন।

এ বাস সার্ভিসের সার্বিক দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। এখন পর্যন্ত দুই রুটে মোট ১১টি বাস চালু হয়েছে।  

কলাবাগান মাঠের ঠিক বিপরীত পাশে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আশরাফুল ইসলাম। তার গন্তব্য আজিমপুর। তিনি বলেন, আমি আজ চক্রাকার বাস দিয়ে এসেছি। আবার আজিমপুরে এ বাস দিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। এ বাসে অতিরিক্ত যাত্রী চাপ নেই, স্টপেজ ছাড়া কোথাও থামছে না। এজন্য সময়ও কম লাগছে।

আরেক যাত্রী নাবিলাও একই কথা জানান। তিনি বলেন, রুট নির্দিষ্ট করে এক রুটে একটি কোম্পানির বাস সার্ভিস থাকলে বাসের প্রতিযোগিতা কমবে, যানজটও কমবে।

আশরাফুল ইসলাম ও নাবিলার সঙ্গে কথা বলার মধ্যেই নির্ধারিত স্টপেজে হাজির হলো চক্রাকার সার্ভিসের একটি বাস। বাসের সহকারী সবার আগে নেমেই যাত্রীদের নামতে সহায়তা করছেন। পরে টিকিট দেখে দেখে সবাইকে বাসে উঠিয়ে নিলেন তিনি। চালুর পর থেকেই এভাবেই নিয়ম মেনে চলছে চক্রাকার বাস সার্ভিস। যা রাজধানীর ‘ভোগান্তির বাস সার্ভিস’ থেকে একেবারেই ব্যতিক্রম।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।