ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বর্ষবরণের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাবির চারুকলা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৯
বর্ষবরণের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাবির চারুকলা ডামি তৈরিতে ব্যস্ত শিক্ষাথীরা। ছবি: বাংলানিউজ

রাবি: আসছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন দিন, নতুন প্রত্যাশায় নতুন বছরকে বরণ করতে বাঙালি জাতির আবেগের যেনো কমতি নেই। 

বাঙালি ঐহিত্যের চিরন্তন সংস্কৃতিকে ধারণ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ’ গানের সুরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলছে বর্ষবরণের ব্যাপক প্রস্তুতি। উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনটিকে বরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাতে নিয়েছে নানান কর্মসূচি।

বৈশাখ উদযাপনের মূল আকর্ষণ রাবির চারুকলা অনুষদ। প্রতিবছরের মতো এবারও চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে অনুষদ প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। উদযাপনকে কেন্দ্র করে চারুকলা অনুষদে চলছে প্রস্তুতি। কর্মসূচির শুরুতে সকালে চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হবে। শোভাযাত্রাটির বিশেষত্ব হলো প্রতিবছর সমসাময়িক বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন থিম ফুটিয়ে তোলা হয়। এছাড়াও থাকছে যন্ত্রসঙ্গীত, আবৃত্তি, নাটক, ও নৃত্যানুষ্ঠান।

চারুকলা প্রাঙ্গণে সরেজমিনে দেখা যায়, বর্ষবরণের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। উদযাপনের মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভযাত্রাকে মাথায় রেখে চলছে যতো আয়োজন। শোভাযাত্রার জন্য পুরো উদ্যোমে চলছে রঙ-বেরঙের ডামি বানানোর কাজ।  
ডামি তৈরিতে ব্যস্ত শিক্ষাথীরা।  ছবি: বাংলানিউজ
সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষবরণের আয়োজনে বাঙালির সংস্কৃতিকে শতভাগ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা থাকে আমাদের। এবার একটি ঘোড়া ও একটি ময়ুরের ডামি তৈরি হচ্ছে। ঘোড়ার ডামি ‘গতি’র বার্তা বহন করবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা বাংলাদেশে অর্থনীতির বর্তমান গতিকে উপস্থাপন করবে। আর ময়ুরের নাচ ও রঙিন পালক উৎসবের আমেজকে নির্দেশ করবে। এছাড়াও সম্ভব হলে আমরা একটি হাতির ডামি তৈরি করবো। যা বাংলাদেশের ধাবমান বৃহৎ অর্থনীতির প্রতীক হিসেবে বার্তা বহন করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর শোভাযাত্রার জন্য রঙ-বেরঙের মুখোশ তৈরি করা হলেও এবার রাষ্ট্রীয় নির্দেশনার কথা মাথায় রেখে মুখোশ তৈরি করা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রস্তুতি শেষ করার জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করছে আমাদের শিক্ষার্থীরা।  

এদিকে, বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা। মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী সঞ্জয় কুমার বলেন, পহেলা বৈশাখ নিয়ে চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের বাড়তি অনুভূতি কাজ করে। বাঙালি সংস্কৃতির সবকিছুই থাকছে এবারের আয়োজনে। ডামি বানানোর কাজ চলছে। আশা করি শিগগিরই শেষ হবে কাজ।

চারুকলা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব বিভাগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবীর পক্ষ থেকে বর্ষবরণের বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।