ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কবিরাজির আড়ালে ধর্ষণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৯
কবিরাজির আড়ালে ধর্ষণ আটক কবিরাজ লালচাঁন বাবু, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন কেয়ারিয়া গ্রামের কবিরাজ লালচাঁন বাবু (৫২)। দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা সমাধানে আসা বিভিন্ন নারীদের নিজ ঘরে আটকে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি এক গৃহবধূকে অচেতন করে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পলাতক ছিলেন লালচাঁন বাবু।

মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানাধীন ব্রাহ্মণগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-১।

এরপর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবিরাজির আড়ালে ধর্ষক লালচাঁনের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে।


 
র‍্যাব জানায়, ১২ ফেব্রুয়ারি কেয়ারিয়া গ্রামে এক গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে র‍্যাব-১ ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ এপ্রিল গাজীপুর থেকে অভিযুক্ত লালচাঁন বাবুকে (৫২) আটক করা হয়।

লালচাঁনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-১ এর মেজর আব্দুল্লাহ আল মেহেদী বাংলানিউজকে বলেন, লালচাঁন দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে কবিরাজি ব্যবসা করে আসছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে দাম্পত্য কলহ সমাধানে ভাই ও ভাবিসহ কবিরাজ লালচাঁনের বাড়িতে যান ভিকটিম নারী। একপর্যায়ে লালচাঁন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ভিকটিমকে ঘরে একলা রেখে অন্যদের বের করে দেন।

এ সময় নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশ্রিত পানি পান করিয়ে অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে ধর্ষণ করেন কবিরাজ। অনেকক্ষণ ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় ভিকটিমের ভাবি ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। একপর্যায়ে কবিরাজ দরজা খুলে দ্রুত পালিয়ে যান এবং ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায় ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।

মেজর মেহেদী আরও বলেন, কবিরাজ লালচাঁন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার কবিরাজি ব্যবসার আড়ালে এ অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা সামাজিক পরিস্থিতি ও মান সম্মানের কথা বিবেচনায় আইনি পদক্ষেপ নেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
পিএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।