বুধবার (১০ এপ্রিল) রাতে তিনি ঢামেক হাসপাতালে ছুটে আসেন।
এ সময় সাংবাদিকদের মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতের মৃত্যুতে জড়িতদের ক্ষমা নেই।
এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিফটন, ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খাইরুল বাশার মজুমদার তপন প্রমুখ।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
এই ছাত্রীর পরিবারের ভাষ্যে, গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজউদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। তার চিকিৎসায় গঠিত হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সবার প্রার্থনা-চেষ্টাকে বিফল করে চলেই গেলো ‘প্রতিবাদী’ নুসরাত।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এসএইচডি/আরআইএস/