তাদের দাবি, একজন নারী ঘর থেকে বের হওয়ার পর পরই বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি করা হয়। অনেক সময় নিজ ঘরেও নিরাপদ না সে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম আয়োজিত যৌন নিপীড়ন ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ বক্তব্য উঠে আসে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, আমাদের বোন নুসরাত জাহান রাফি সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু তাকে যৌন নিপীড়নকারী, ধর্ষণকারী, হত্যাকারীরা এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। অভিযুক্ত অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল করে। অন্যদিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন নুসরাতের পক্ষে, এটা হাস্যকর।
তিনি বলেন, আজ আমরা যৌক্তিক আন্দোলনের জন্য যখন এখানে দাঁড়াতে এসেছি, তখন পুলিশ এসে আমাদের অনুমতির কথা জানতে চায়। আ রে ভাই যখন ধর্ষক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের মুক্তির জন্য মিছিল করা হয় তখন কোথায় ছিলেন আপনারা। কই প্রতিবাদ করলেন না কেনো? অথচ বেতন-ভাতা নিয়ে আন্দোলন করলেই নিরীহ শ্রমিকদের গুম করা হয়।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শম্পা বসু বলেন, ১৯৭১ সালে যেমন পাকিস্তান বাহিনীর কাছে নারীরা নিরাপদ ছিলো না, আজও নারী নিরাপদ নয়। নারীরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মক্ষেত্রে যেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। গণপরিবহনে ধর্ষণের পর মরদেহ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হলে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। কোনো নারী-শিশু আর আক্রান্ত হতো না। এসব ঘটনার দায় অবশ্যই সরকারকে নিতে হবে, সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নারী নেত্রী বহ্নি শিখা জামালি, মাকসুদা আক্তার লাইলি, লুনা নূর, আফরোজা আক্তার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
ইএআর/এএটি